বিশ্বভারতী পড়তে চান? বিস্তারিত (বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য)
বিশ্বভারতী পড়তে চান? বিস্তারিত (বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য)
বিশ্বভারতী ভারতবর্ষের প্রথম সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে গড়া এই বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শান্তিনিকেতনে অবস্থিত। ১৯২১ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্বভারতী ১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পায়। বিশ্বভারতী ভারতীয় উপমহাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসে। বিশ্বভারতীতে বিভিন্ন পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। এখানে আপনি একসাথে দুটি কোর্স করতে পারার সুযোগ রয়েছে। এখানে উচ্চশিক্ষার যেসব পর্যায়ে পাঠদান করা হয় সেগুলো হচ্ছে:
*আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কোর্স (UG)
*পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স (PG)
*এম ফিল কোর্স
* ডক্টরেট কোর্স
* ১ বছর মেয়াদী বিশেষ কোর্স
* ২ বছর মেয়াদী সাটিফিকেট কোর্স, ডিপ্লোমা ও ফাউন্ডেশন কোর্স
বিশ্বভারতীর কোর্স সমূহ দেখতে এখানে ক্লিক করুন
মোট আসন সংখ্যার ১৫% সিট বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারত সরকারের আইন অনুযায়ী এবং হোস্টেলের সিট থাকার ইপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণযোগ্য করা হয়ে থাকে।
ভর্তি যোগ্যতা:স্নাতক পর্যায়ে আবেদন করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় সিজিপিএ অন্তত ৩.০০ (৬০%) থাকতেই হবে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা স্নাতকে ৫৫% নম্বর থাকতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন কোর্সের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হয়।
আবেদনের নিয়ম:
বিশ্বভারতীতে কোনো কোর্সে ভর্তির আবেদন করার পূর্বে আগ্রহী শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ঐ কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। আগ্রহী বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিশ্বভারতী ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করতে পারবে। এই বছরের এপ্রিল মাসে বিশ্বভারতী ডেপুটি রেজিষ্ট্রার (শিক্ষা ও গবেষণা) এর দপ্তর থেকে ১৫০০ টাকার বিনিময়ে একটি ফর্ম পাওয়া যেতে পারে। বিদেশি শিক্ষার্থীরা পূরণকৃত আবেদনপত্র ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা ও গবেষণা) এর বরাবর জমা দিবে অথবা ইমেইল করবে। যদি আবেদন ফর্ম ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা হয় তবে তা জমা দেয়ার ঠিকানা
Academic & Research
Visva-Bharati, P. O.-Santiniketan
District- Birbhum, West Bengal, Pin-731 235
Telephone +91 3463 261853
dracad@visva-bharati.ac.in
আবেদন করতে যেসকল কাগজপত্র প্রয়োজন:
- মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল সার্টিফিকেট, মার্কশীট, রেজিস্ট্রেশন ও এডমিট কার্ড
- নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট
- জন্ম নিবন্ধন
- বিদ্যালয় এবং কলেজের প্রত্যয়ন পত্র
- পাসপোর্ট
- স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট (পরে প্রয়োজন)
- এইচআইভি সার্টিফিকেট (পরে প্রয়োজন)
এই সকল কাগজ পত্র ফটোকপি করে নিজে সত্যায়িত করে জমা করতে হবে। এখানে মূল সার্টিফিকেট জমা রাখতে হয়না ভর্তির পর।
কিভাবে বুঝবেন আপনি এখানে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন?
কিভাবে বুঝবেন আপনি এখানে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন?
সকল কাগজপত্র ঠিক থাকলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ভর্তির সুযোগ প্রদান করলে ফর্মে উল্লেখিত আপনার ইমেলে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেল থেকে কল লেটার পাঠানো হবে। সেই কল লেটার এ আপনাকে নিশ্চিত করবে ভর্তির সুযোগ সম্পর্কে।
ভর্তি প্রক্রিয়া:
সেই কল লেটার এর ফটোকপির মাধ্যমে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসা করে বিশ্বভারতী আসতে হবে। তারপর ভবনের (অনুষদ) অফিসে এসে আপনার কল লেটার প্রদর্শনের মাধ্যমে একটা লম্বা কার্যক্রমের মাধ্যমে আপনার ভর্তি সম্পন্ন হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী বন্ধ থাকে। এখানে আপনি খুব সহজেই ভর্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। বাংলাদেশের কিছু দালাল চক্র আপনাকে বলতে পারে টাকার মাধ্যমে এখানে ১০০% ভর্তি করে দিতে পারবে তাদের থেকে সাবধান। প্রয়োজনে বিশ্বভারতী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সহায়তা নিন।
আপনাদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি:
প্রশ্ন: পড়তে কেমন খরচ হবে?
উত্তর: ভর্তি সময় প্রায় ১১০৩৯ রুপি থেকে ১৪০০০ হাজার রুপি খরচ হতে পারে। বিভিন্ন বিভাগ অনুযায়ী ভর্তি ফি ভিন্ন। পরবর্তী বছর বাৎসরিক ফি কমে ৩৯৪১ রুপি থেকে ৬১৪১রুপির মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে। এছাড়া আপনি যদি হোস্টেলে থাকতে চান তাহলে মাসিক হোস্টেল ফি ৯০০-১০০০ রুপি দিতে হবে।
প্রশ্ন: মাস্টার্স এর জন্য ৫৫ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে, মানে সিজিপিএ-২.৭৫ এমন নাকি ?
উত্তর: বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির জন্য ভিন্ন ভিন্ন শর্তাবলী রয়েছে। ধরা যাক আপনি বাংলায় মাস্টার্সে ভতি হবেন। আপনাকে অবশ্যই বিশ্বভারতীর শর্ত অনুযায়ী বাংলা স্নাতকে শতকরা ৫৫ {সিজিপিএ ৫ এর মধ্যে ৩(B)} নম্বর থাকতে হবে।
প্রশ্ন: আবেদন করার জন্য কি ভ্রমন ভিসায় গিয়ে আবেদন করতে হবে নাকি ?
উত্তর: আপনি যেকোন ভিসার মাধ্যমে এসে আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্ন: শুনেছি ফর্ম ওখানে গিয়া ফিলাপ করতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ আপনি ঠিক শুনেছেন। কিন্তু বিশ্বভারতী অনলাইনে ফর্ম ফিলাপের সুযোগ দিয়েছে। আমার ব্যক্তিগত মতামত অনলাইনের চেয়ে এখানে এসে ফর্ম ফিলাপ করা জমা দেওয়া সুরক্ষিত এবং নিরাপদ।
প্রশ্ন: কি টাইপ পড়তে হবে এক্মাম এর জন্য?
উত্তর: এখানে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিতে হয়না। তবে কিছু বিভাগে ভর্তির জন্য ভাইভা দিতে হয়।
প্রশ্ন: সঙ্গীত নিয়ে পড়তে চাই। তাতে কি গানের কোনো সিডি দিতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ অবশ্যই সিডি জমা দিতে হয়। রবীন্দ্র সঙ্গীত বিভাগে ভর্তির জন্য ৫ থেকে ৬ টি গান এবং ক্লাসিক সঙ্গীত বিভাগে ভর্তির জন্য ২-৩ টি রাগ সিডি আকারে জমা দিতে হবে।
টিপস:
আপনি যখন আবেদন করতে আসবেন তখন আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সঙ্গে আনবেন তাহলে সাথে সাথে ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে পারবেন। অন্যথায় আপনার সময় অপচয় হবে।
দেবতা হেমব্রম
স্নাতক তৃতীয়বর্ষ
বাংলা বিভাগভর্তি প্রক্রিয়া:
সেই কল লেটার এর ফটোকপির মাধ্যমে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসা করে বিশ্বভারতী আসতে হবে। তারপর ভবনের (অনুষদ) অফিসে এসে আপনার কল লেটার প্রদর্শনের মাধ্যমে একটা লম্বা কার্যক্রমের মাধ্যমে আপনার ভর্তি সম্পন্ন হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতী বন্ধ থাকে। এখানে আপনি খুব সহজেই ভর্তি সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। বাংলাদেশের কিছু দালাল চক্র আপনাকে বলতে পারে টাকার মাধ্যমে এখানে ১০০% ভর্তি করে দিতে পারবে তাদের থেকে সাবধান। প্রয়োজনে বিশ্বভারতী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সহায়তা নিন।
আপনাদের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি:
প্রশ্ন: পড়তে কেমন খরচ হবে?
উত্তর: ভর্তি সময় প্রায় ১১০৩৯ রুপি থেকে ১৪০০০ হাজার রুপি খরচ হতে পারে। বিভিন্ন বিভাগ অনুযায়ী ভর্তি ফি ভিন্ন। পরবর্তী বছর বাৎসরিক ফি কমে ৩৯৪১ রুপি থেকে ৬১৪১রুপির মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে। এছাড়া আপনি যদি হোস্টেলে থাকতে চান তাহলে মাসিক হোস্টেল ফি ৯০০-১০০০ রুপি দিতে হবে।
প্রশ্ন: মাস্টার্স এর জন্য ৫৫ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে, মানে সিজিপিএ-২.৭৫ এমন নাকি ?
উত্তর: বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির জন্য ভিন্ন ভিন্ন শর্তাবলী রয়েছে। ধরা যাক আপনি বাংলায় মাস্টার্সে ভতি হবেন। আপনাকে অবশ্যই বিশ্বভারতীর শর্ত অনুযায়ী বাংলা স্নাতকে শতকরা ৫৫ {সিজিপিএ ৫ এর মধ্যে ৩(B)} নম্বর থাকতে হবে।
প্রশ্ন: আবেদন করার জন্য কি ভ্রমন ভিসায় গিয়ে আবেদন করতে হবে নাকি ?
উত্তর: আপনি যেকোন ভিসার মাধ্যমে এসে আবেদন করতে পারবেন।
প্রশ্ন: শুনেছি ফর্ম ওখানে গিয়া ফিলাপ করতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ আপনি ঠিক শুনেছেন। কিন্তু বিশ্বভারতী অনলাইনে ফর্ম ফিলাপের সুযোগ দিয়েছে। আমার ব্যক্তিগত মতামত অনলাইনের চেয়ে এখানে এসে ফর্ম ফিলাপ করা জমা দেওয়া সুরক্ষিত এবং নিরাপদ।
প্রশ্ন: কি টাইপ পড়তে হবে এক্মাম এর জন্য?
উত্তর: এখানে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিতে হয়না। তবে কিছু বিভাগে ভর্তির জন্য ভাইভা দিতে হয়।
প্রশ্ন: সঙ্গীত নিয়ে পড়তে চাই। তাতে কি গানের কোনো সিডি দিতে হয়?
উত্তর: হ্যাঁ অবশ্যই সিডি জমা দিতে হয়। রবীন্দ্র সঙ্গীত বিভাগে ভর্তির জন্য ৫ থেকে ৬ টি গান এবং ক্লাসিক সঙ্গীত বিভাগে ভর্তির জন্য ২-৩ টি রাগ সিডি আকারে জমা দিতে হবে।
টিপস:
আপনি যখন আবেদন করতে আসবেন তখন আপনার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সঙ্গে আনবেন তাহলে সাথে সাথে ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে পারবেন। অন্যথায় আপনার সময় অপচয় হবে।
দেবতা হেমব্রম
স্নাতক তৃতীয়বর্ষ
বিশ্বভারতী
খুব ভালো উদ্যোগ দাদা.. 😊
ReplyDeleteধন্যবাদ
DeleteJust Speechless!
ReplyDeleteMind blowing article.
Thank You.
Deletethen ki amr vishva bharaty unite ase frim fill up krte hbena??
ReplyDeleteআপনি চাইলে অনলাইনে ফর্ম ডাউনলোড করেে এবং তা পূরণ করে পাঠাতে পারেন অথবা অফলাইনে (বিশ্বভারতী এসে) জমা করতে পারেন।
DeleteSangit niye porte chai .....Tate ki Ganer kono CD joma dite hoi....???? Amar toh kono cd e nai....
ReplyDeleteহ্যাঁ অবশ্যই সিডি জমা দিতে হয়। রবীন্দ্র সঙ্গীত বিভাগে ভর্তির জন্য ৫ থেকে ৬ টা গান এবং ক্লাসিক সঙ্গীত বিভাগে ভর্তির জন্য ২-৩ টা রাগ সিডি আকারে জমা দিতে হবে। ধন্যবাদ
Delete